ভুয়ো ভোটারেই চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন : মেনে নিল নির্বাচন কমিশন
বিশেষ প্রতিবেদন, নয়াদিল্লি : দেশের বিরোধী দলগুলির দাবি ও অভিযোগ কার্যত মেনে নিল নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ দেশে 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে অনেক ভুয়ো ভোটের ছিল। পরিযায়ী হওয়ার জেরে ৩৫ লক্ষ শ্রমিকের নাম এখন বাদ যাচ্ছে। সেইসব ভোটারকে তালিকাতে রেখে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন ভোট চুরি হয়নি বলে প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার।
এদিকে, গোটা দেশে বিরোধীরা প্রমাণ করে দিয়েছে বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনের "ষড়যন্ত্রে" কীভাবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকে বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভুয়ো ভোটার ব্যবহার করা হয়েছিল। ২০ বছর পরে নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধনীর মধ্যে দিয়ে সেই ভুল এখন সংশোধন করছে নির্বাচন কমিশন। সেইসঙ্গে কোনোভাবেই দ্রুততায় এই বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (SIR) সম্ভব নয় বলে মেনে নিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
বিহারের ভোটার তালিকা নিবিড় সংশোধনীর বিরোধিতায় মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। ব্যাপক হারে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হলে কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, বিহারে ইতিমধ্যেই ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বিভিন্ন কারণে বাদ দিয়েছে কমিশন। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। তার এক বছরের মধ্যে ২২ লক্ষ ভোটারকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে পরিযায়ী হওয়ার কারণে যে ৩৫ লক্ষ নাম এখন বাদ যাচ্ছে, সেই সব ভোটারকে তালিকাতে রেখে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন করিয়েছিল বিজেপি। এটা স্পষ্ট হয়েছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কথায়।
লোকসভা নির্বাচনের পরে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, হরিয়ানা ও ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। তাতে ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগে প্রথম তথ্য তুলে ধরে সরব হয় বিরোধীরা। এরপরই নিবিড় সংশোধনীর সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। সেখানেই প্রশ্ন তোলা হয়, তবে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত যে সংশোধন হয়েছিল, তাতে কেন এত ভোটার বাদ পড়েনি। জ্ঞানেশ কুমারের দাবি, ২০ বছর পরে নিবিড় সংশোধনীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার যাচাই করার পর এত নাম বাদ গিয়েছে বিহারে। এতদিন সাধারণ সংশোধন হওয়ায় এত ভুয়ো ভোটার রয়ে গিয়েছিল ভোটার তালিকায়।
No comments:
Post a Comment