গোবররঙা গাড়ি
দেখো_কাণ্ড! অভিনব উপায়। ঐতিহ্যের সঙ্গে বিজ্ঞানের মেলবন্ধনও বটে!
প্রাচীন ভারত থেকে আধুনিক রাসায়নিক পণ্যের বাড়বাড়ন্ত - এর যুগেও তার মহিমা অমলিন। বলছিলাম গোবরের কথা।
গ্রামে মাটির ঘরবাড়ি, উঠান লেপার কাজে গোবর ব্যবহার হয়। এতে বাড়িঘর ঠান্ডা ও জীবাণুমুক্ত থাকে। জমিতে জৈবসার, রান্নার জ্বালানি ইত্যাদি ক্ষেত্রে গোবর এখনও সমহিমায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
গাড়িতে গোবরের ব্যবহার এই প্রথম ...! বলছিলাম গোবর দিয়ে গাড়ি রং করার কথা।এমন রঙের গাড়ি দেখা যায় না বললেই চলে।
তবে গুজরাটের আমেদাবাদে গেলে এই গোবররঙা গাড়ির দেখা মিলবে। স্থানীয় সৈয়দ এস শাহ নামে এক ব্যক্তি নিজের গাড়িটির বাইরে গোবর দিয়ে লেপেছেন। তিনি এর সঙ্গে সাদা রঙের নকশাও করেছেন।
তাঁর যুক্তি, এতে গাড়ির ভিতরটা অনেক ঠান্ডা থাকে। এমনিতেই জ্বালানি তেলের এত দাম! তার পর এসি লাগালে তেলের খরচ আরও বাড়বে।
তিনি দাবি করেন, বাইরের তাপমাত্রা ৪৩ বা ৪৪ ডিগ্রি হলেও এই গাড়ির ভিতরে সেটা কমে গিয়ে ৩৬ ডিগ্রিতে দাঁড়াচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কোনো অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই এভাবে তাপমাত্রা কমানো গেলে আর তার প্রয়োগ ফলপ্রসূ হলে এখন থেকে গাড়িতেও গোবর লেপার প্রচলন শুরু হতেই পারে।
এক্ষেত্রে শুধুমাত্র জলে গুলে নিলে গোবর বেশিদিন গাড়ির গায়ে লেগে থাকবে না। এর সঙ্গে কোনো আঠাজাতীয় কিছু মেশানো হলে সেটা বেশি কার্যকর হবে। এতে বাতাসের তাপমাত্রাও কমানো সম্ভব হবে।
No comments:
Post a Comment