এবার দুর্গা অঙ্গন, সিদ্ধান্ত হল মন্ত্রীসভায়ও
বিশেষ প্রতিবেদন : অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘায় জগন্নাথ ধাম তৈরি করবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন। এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা রাজ্যে "দুর্গা অঙ্গন" তৈরি করবেন। স্বভাবতই এই কাজও সম্পন্ন হবে। রাজ্য মন্ত্রীসভায় আজ, সোমবার এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এবার কাজ শুরু হবে। নবান্ন সূত্রে খবর, পর্যটন দপ্তর এবং হিডকো যৌথভাবে ‘দুর্গা অঙ্গন’ তৈরি করবে। নির্মাণকাজের জন্য একটি ট্রাস্ট গঠন করা হচ্ছে বলে ঘোষণা করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
বাজেট কত হবে, কোথায় এই মন্দির তৈরি হবে সে বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। নবান্নে এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘ইউনেস্কো বাংলার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছে। এই স্বীকৃতিকে সম্মান জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গা অঙ্গন তৈরির ঘোষণা করেছিলেন। ক্যাবিনেট বৈঠকে আজ সেটা পাশ হয়েছে। একটি ট্রাস্ট তৈরি হবে। ট্রাস্টের সদস্যদের নাম পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।"
প্রসঙ্গত, ২১ জুলাই শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘দুর্গা অঙ্গন’ তৈরির কথা ঘোষণা করেন। এই ঘোষণারও কারণ ছিল। মাত্র দু-তিন দিন আগে দুর্গাপুরের সভামঞ্চে প্রধানমন্ত্রী বাঙালির আবেগকে কাজে লাগিয়ে "জয় মা দুর্গা", "জয় মা কালী" বলে বক্তব্য শুরু করেন। সেদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য দুর্গাপুরের কালীমন্দিরে গিয়ে সাতসকালেই পুজো দিয়েছিলেন। খুব সম্ভবত বিজেপি বাঙালির দুর্গা আবেগে ভাগ বসাচ্ছে দেখে তৃণমূল কংগ্রেস 'দুর্গা অঙ্গন' অর্থাৎ দুর্গামন্দির নির্মাণে উদ্যোগী হয়।
রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের দুর্গাপ্রীতির সমালোচনা করা হয়েছিল। এর আগে একুশের মঞ্চে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির সমালোচনা করে দাবি করেন, "ঠেলায় না-পড়লে বেড়াল গাছে ওঠে না!" পরক্ষণেই মঞ্চে উঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘দুর্গা অঙ্গন’ তৈরির কথা ঘোষণা করেন। এবার সেই মন্দির নির্মাণ সম্পন্ন করার পালা। তবে কি ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগেই পশ্চিমবঙ্গে আরেকটি দর্শনীয় স্থান তথা ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠতে চলেছে...? প্রতিযোগিতার বাজারে সবই সম্ভব... !
No comments:
Post a Comment