সেনাপ্রধানের পর ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি বেনজিরপুত্র বিলাওয়ালের
বিশেষ প্রতিবেদন : ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ফের যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। এবার পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী তথা বেনজিরপুত্র বিলাওয়াল ভুট্টো ভারতকে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করার বিষয়ে হুমকি দিয়েছেন। বিলাওয়ালের অভিযোগ, ভারত পাকিস্তানের বড়ো ক্ষতি করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে সব পাকিস্তানিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সোমবার পাকিস্তানের সিন্ধু প্রাদেশিক সরকারের সংস্কৃতি বিভাগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, "নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত পাকিস্তানের বড়ো ক্ষতি করেছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে একসঙ্গে দাঁড়ানো দরকার মোদি ও এসব আগ্রাসনের বিরুদ্ধে।"
তিনি সতর্ক করে আরও বলেন, "ভারত যদি সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত রাখে, তবে পাকিস্তানের হাতে যুদ্ধ ছাড়া আর কোনো বিকল্প থাকবে না।"
তিনি বলেন, "আমরা যুদ্ধ করে ৬টি নদীর অধিকার ফেরত নেওয়ার মতো শক্তিশালী। ভারত যদি এই পথে এগোতে থাকে, তাহলে আমাদের কাছে জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় যুদ্ধসহ সবধরনের বিকল্প খোলা থাকবে।" বিলাওয়াল হুঁশিয়ারি দেন, "আমরা যুদ্ধ শুরু করিনি। কিন্তু যদি অপারেশন সিঁদুরের মতো হামলার কথা ভাবেন, তবে জেনে রাখুন—পাকিস্তানের প্রতিটি প্রদেশের মানুষ আপনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। আর এই যুদ্ধে আপনারা অবশ্যই হারবেন। আমরা নতিস্বীকার করব না।"
বিলাওয়ালের বক্তব্যের একদিন আগে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির ভারতের বিরুদ্ধে পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি দিয়ে বলেন, ভবিষ্যতে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে পাকিস্তান অস্তিত্ব সংকটে পড়লে এবং ‘পৃথিবীর অর্ধেকই ধ্বংস হয়ে যাবে।" তিনি বলেন, "আমরা একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। যদি মনে করি আমরা শেষ হয়ে যাচ্ছি, তাহলে পৃথিবীর অর্ধেককে আমাদের সঙ্গে নিয়ে যাব।’তিনি হুমকি দেন, সিন্ধু নদের জলপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করতে ভারত যদি কোনো পরিকাঠামো তৈরি করে, তাহলে তা ধ্বংস করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের কোনো অভাব নেই। ভারত যদি একটি বাঁধও তৈরি করে, আমরা ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে তা উড়িয়ে দেব। সিন্ধু নদ ভারতের পারিবারিক সম্পত্তি নয়।"
এদিকে, ভারত আসিম মুনিরের পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি দেওয়া পাকিস্তানের ‘পুরোনো অভ্যাস।’ বিবৃতিতে বলা হয়, "আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিজেরাই বুঝতে পারবে এ ধরনের মন্তব্য কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন। এটি প্রমাণ করে যে, সেনাবাহিনী ও জঙ্গিগোষ্ঠী যেখানে হাত মিলিয়ে চলে, সেই রাষ্ট্রে পারমাণবিক অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্বসম্প্রদায়ের আশঙ্কা যথার্থ।"
No comments:
Post a Comment