Breaking

Sunday, August 3, 2025

রোহিঙ্গাদের নির্যাতন করছে আরাকান আর্মি

 রোহিঙ্গাদের নির্যাতন করছে আরাকান আর্মি


বিশেষ প্রতিবেদন: রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর দমনমূলক নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে আরাকান আর্মির (এএ) বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

          এইচআরডব্লিউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাখাইনের দখল করা এলাকাগুলিতে রোহিঙ্গাদের চলাফেরায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা, লুটপাট, আটক, মারধর, জোরপূর্বক শ্রম ও শিশুদের নিয়োগের মতো নিপীড়ন চালাচ্ছে এই এএ।

       এইচআরডব্লিউর এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক এলেইন পিয়ারসন বলেন, "রাখাইনে মায়ানমারের সেনাবাহিনী যেমনভাবে রোহিঙ্গাদের নিপীড়ন করে এসেছে, আরাকান আর্মিও এখন সেই একই পথ অনুসরণ করছে। তাদের এখনই এসব আচরণ বন্ধ করা উচিত।"

       প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের নভেম্বরে মায়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে নতুন করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আরাকান আর্মি। এরপর উত্তর রাখাইনের বহু এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে আসে। সেইসময় তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, দখলকৃত এলাকায় সব জাতিগোষ্ঠীর জন্য ন্যায়সংগত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।

         বাস্তবে রোহিঙ্গারা জানাচ্ছে, তাদের জীবনে আরাকান আর্মির শাসন অত্যন্ত কঠোর ও বৈষম্যমূলক। রাখাইনে রোহিঙ্গারা এখন দুই দিক থেকে নিপীড়নের শিকার। একদিকে মায়ানমার সেনাবাহিনী, অন্যদিকে আরাকান আর্মি। দুই পক্ষই নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ ও বেআইনি নিয়োগসহ বিভিন্ন সহিংসতা চালিয়ে আসছে।

         ২০২৩ সালের শেষদিক থেকে এখন পর্যন্ত রাখাইন ও কাচিন রাজ্যে চার লাখের বেশি মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং প্রায় দুই লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে গেছে বাংলাদেশে।

          রোহিঙ্গাদের অভিযোগ, তাদের জমি, ঘরবাড়ি, গবাদি পশু, এমনকি কবরস্থানও দখল করে আরাকান আর্মি। কেউ কেউ জানান, তাদের পুরোনো কবরস্থান ভেঙে দিয়ে ধানখেতে দাফন করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের জীবিকা ও কৃষিকাজেও নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে আরাকান আর্মি।


No comments:

Post a Comment