ইউক্রেনে দীর্ঘস্থায়ী ও স্থিতিশীল শান্তি চায় রাশিয়া
বিশেষ প্রতিবেদন : ইউক্রেনে ‘দীর্ঘস্থায়ী ও স্থিতিশীল শান্তি’ চায় রাশিয়া। এমনটাই জানিয়েছেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে শান্তির জন্য মস্কোর শর্ত এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে কিয়েভ আবারও দুই দেশের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে। ইউক্রেনে সাড়ে তিন বছর ধরে চালানো হামলা বন্ধের অনুরোধ বারবার প্রত্যাখ্যান করে আসছেন পুতিন, যদিও এই সপ্তাহের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লড়াই বন্ধের জন্য ১০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন।
পুতিন শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা এমন একটি দীর্ঘস্থায়ী ও স্থিতিশীল শান্তি চাই, যা শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হবে এবং রাশিয়া ও ইউক্রেন—উভয়ের স্বার্থরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।" তবে তিনি এ-ও বলেন, "রাশিয়ার পক্ষ থেকে যে শর্তগুলি রয়েছে, তা অবশ্যই অপরিবর্তিত রয়েছে।"
রাশিয়া বহুবার ইউক্রেনের কাছে চারটি অঞ্চল ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যেগুলো মস্কো নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করছে। কিয়েভ এই দাবিকে অগ্রহণযোগ্য বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
এ ছাড়া মস্কোর প্রতিদিনকার হামলা ঠেকাতে ইউক্রেন তার পশ্চিমা মিত্রদের কাছে আরও অস্ত্র সহায়তা চেয়ে আসছে এবং রাশিয়া ও তার বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের ওপর জোর দিচ্ছেন। কিয়েভ আগস্টের শেষ নাগাদ এই বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে। শুক্রবার জেলেনস্কি আবারও ওই আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি বলেন, "আমরা বুঝি, রাশিয়ায় কে সিদ্ধান্ত নেয় এবং কার উচিত এই যুদ্ধ বন্ধ করা।" ইউক্রেন যেকোনো সময় শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে বসতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
এদিকে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে যৌথ বক্তব্যে পুতিন জানান, মস্কো তার নতুন হাইপারসনিক পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র ‘ওরেশনিকের’ ব্যাপক উৎপাদন শুরু করেছে।
গত বছর মধ্য ইউক্রেনের দিনিপ্রো শহরে এই ‘ওরেশনিক’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল রাশিয়া। তারপর তারা ঘোষণা করে, ক্ষেপণাস্ত্রটি ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশে মোতায়েন করা হতে পারে।
No comments:
Post a Comment