আজ বঙ্গবন্ধু হত্যার ৫০ বছর পূর্তি,
ধানমন্ডি ৩২ - এ জনতাকে ঘেঁষতে না দেওয়া, তাড়িয়ে দেওয়া ভালো লাগেনি...
মৃণাল কান্তি দাস : ধানমন্ডি ৩২ আর বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন অবিচ্ছেদ্য। এদের কেউ কখনও পৃথক করতে পারবে না। দখলদার বাহিনী, বিদেশ থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসা "অবৈধ" সরকার, সেই সরকারের মদতপুষ্ট ছাত্রযুব বা ধ্বংসকারী কালাপাহাড়ের দল কেউই সারাজীবন ধানমন্ডি ৩২ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে না। আজ এরা যত কিছুই করুক না কেন, সেদিন এখন দূরে হলেও একদিন তো নিকটবর্তী হবেই। আর বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে তাঁর অনুরাগীরা তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে যাবেই। এর সঙ্গে শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই।
ধানমন্ডি ৩২ বঙ্গবন্ধুর বাসভবন। এই বাড়ি অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। এখান থেকেই স্বাধীনতা আন্দোলনের শুরু আর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশ পরিচালনা করেছেন বঙ্গবন্ধু। আজ থেকে ঠিক ৫০ বছর আগে এইখানেই পাকপন্থীরা সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনটি বাঙালি ভোলেনি, কোনোদিন ভুলবে না, ভুলতে পারবেও না। সুতরাং আজকের দিনে শত বাধা উপেক্ষা করে হলেও সাধারণ মানুষ, স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ মানুষ ধানমন্ডি ৩২ - এ যাবেই। গায়ের জোরে, অস্ত্রের জোরে, অবৈধ, দখলদারদের ক্ষমতার জোরে এই জনতাকে মেরে, তাড়িয়ে দিয়ে বা দৌড়ে পালাতে বাধ্য করলেও ধানমন্ডি ৩২ -এর ইতিহাস, ঐতিহ্য, মিথ চিরতরে মুছে ফেলা যাবে না।
আজ, শুক্রবার সাধারণ রিকশাচালক থেকে শুরু করে খেটেখাওয়া মানুষ বারবার বাধা, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গিয়েছিল ধানমন্ডি ৩২- এ বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে। গতকাল এমনকি আজও কালাপাহাড়রা মাইকে প্রচার করে জনগণকে সাবধান করে দিয়েছিল যে আওয়ামী লীগের কেউ যেন ধানমন্ডি ৩২ - এ না আসে। কিন্তু এত বাধা, নিষেধাজ্ঞা, কড়াকড়ি সত্ত্বেও অনেকেই এসেছে। মার খেয়েছে, তাড়া খেয়ে পালিয়েছে, গাড়ির তলায় চাপা পড়তে পড়তে বেঁচেছে --- তবু এসেছে তারা প্রিয় নেতার মৃত্যুদিনে (শহিদ দিবস, জাতীয় শোক দিবস) তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে। এই পরস্পরবিরোধী কার্যকলাপ বুঝিয়ে দেয়, স্পষ্ট বলে দেয় যে আওয়ামী লীগ আর স্বাধীনতার চেতনা এখনও ভালোভাবেই বয়ে চলেছে পদ্মাপারে। একে দমন করতে চেয়ে আখেরে নিজেদের পাকপন্থী বলে পরিচিত করানো আর ষড়যন্ত্রকারী বলে জগৎকে চেনানো ছাড়া অন্য কোনো ফায়দা নেই, হবেও না।
#জাতীয়_শোক_দিবস_বঙ্গবন্ধু_হত্যা_দিবস_১৫_আগস্ট
No comments:
Post a Comment