Breaking

Sunday, August 3, 2025

ধর্ষণ: দেবগৌড়ার নাতি প্রজ্জ্বলকে যাবজ্জীবন সাজা

ধর্ষণ: দেবগৌড়ার নাতি প্রজ্জ্বলকে যাবজ্জীবন সাজা 



বিশেষ প্রতিবেদন : প্রাক্তন জেডিএস সাংসদ তথা দেশের পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার নাতি প্রজ্জ্বল রেভান্নাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড  দিল বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত। বৃহস্পতিবার তাঁকে ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। আজ, শনিবার ঘোষণা হলো সাজাও। তাঁর বিরুদ্ধে মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল মাত্র ১৪ মাস আগে। এই সময়ের মধ্যে দোষী সাব্যস্ত করে দ্রুত সাজা ঘোষণা করল জনপ্রতিনিধিদের জন্য নির্ধারিত বিশেষ আদালত। সেইসঙ্গে আদালত ১০ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশও দিয়েছে।

         এই মামলার শুনানিতে জানা গেছে, কর্ণাটকের  হাসান জেলার একটি খামারবাড়িতে এক পরিচারিকাকে আটকে রেখে বহুবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল প্রজ্জ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, সেইসময়ের ছবি ও ভিডিয়ো তুলে রেখে পরে নির্যাতিতাকে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ আনা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। 

        এই ঘটনার তদন্তে নামে কর্ণাটক পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। তদন্ত শেষে গত এপ্রিলে প্রজ্বলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়ে। SIT-এর পেশ করা তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে শুক্রবার বেঙ্গালুরুর অতিরিক্ত নগর দায়রা আদালতের বিচারপতি সন্তোষ গজানম ভাট তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন।

         আজ, শনিবার সাজা ঘোষণার আগেও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন প্রজ্জ্বল। তাঁর বক্তব্য, “আমার একমাত্র দোষ হলো রাজনীতিতে দ্রুত এগিয়ে যাওয়া।” আদালাতে রেভান্না বলেন, “ওরা বলছে আমি একাধিক মহিলাকে ধর্ষণ করেছি। কিন্তু তাঁদের কেউই স্বেচ্ছায় অভিযোগ জানাতে আসেননি। ভোটের মাত্র ছয় দিন আগে হঠাৎ এই অভিযোগ তোলা হয়। আমার বিরুদ্ধে  তাঁদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিযোগ দায়ের করাতে বাধ্য করা হয়েছে।”

         উল্লেখ্য, ২০২৪ - এর লোকসভা নির্বাচনে হাসন কেন্দ্র থেকে জেডি (এস) প্রার্থী ছিলেন প্রজ্জ্বল রেভান্না। ভোটের ঠিক আগেই এক পেনড্রাইভ প্রকাশ্যে আসে, যেখানে রেভান্নার বিরুদ্ধে একাধিক যৌন হেনস্তার ভিডিয়ো থাকার অভিযোগ ওঠে। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই দল তাঁকে বহিষ্কার করে। 

          আজ, শনিবার সাজা ঘোষণার আগে আদালতে আবেগঘন সুরে তিনি বলেন, “আমার পরিবার আছে। গত ছ’মাসে মা-বাবার সঙ্গেও দেখা হয়নি। আমি আদালতের কাছে অনুরোধ করছি, দয়া করে আমাকে লঘু দণ্ড দিন।”

          তদন্ত শুরু হওয়ার পরই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান প্রজ্জ্বল রেভান্না। তিনি আদৌ দেশে ফিরবেন কি না, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ছিল অনিশ্চয়তা। এমনকি দু’বার বিমানের টিকিট কাটলেও, শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করে দেন। তবে আগাম জামিনের আবেদন জানানোয় স্পষ্ট হয়ে যায়, এবার তিনি দেশে ফিরতে চলেছেন। এরপর এক গভীর রাতে কর্ণাটকের কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দরে নামেন তিনি। সেখানেই তাঁকে গ্রেফতার করে তিনজন মহিলা পুলিশকর্মীর একটি দল। এরপর তাঁকে ইডির হেপাজতে নেয়।

No comments:

Post a Comment