আন্তর্জাতিক শর্ত মেনেই উৎপাদনে যাচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
* আলমগীর হোসাইন (নাবিল), পাবনা
আনুষ্ঠানিক উৎপাদনের অপেক্ষায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। রাশিয়ার কারিগরি সহযোগিতায় উত্তরের জেলা পাবনার রূপপুরে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল এ বিদ্যুৎ প্রকল্পের দীর্ঘ নির্মাণযজ্ঞ শেষে এখন চলছে কমিশনিংয়ের কাজ।
সম্প্রতি রূপপুর প্রকল্পে নিয়োগ ও নির্মাণকাজে অদক্ষতা, অনিয়মের প্রশ্ন তুলে প্রকল্পটি ইতিহাসের ভয়াবহতম চেরনোবিল পরমাণু দুর্ঘটনার মতো বিপদ ডেকে আনতে পারে, এমন প্রচারণায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়েছে। তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি, এখানে চেরনোবিলের মতো দুর্ঘটনার কোনো সুযোগ নেই।
সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমের সংবাদ ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বার্তায় জানা যায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ ও পরিচালনায় অদক্ষ ও প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা ছাড়াই চিফ সুপারিনটেনডেন্টসহ বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে আপত্তি তুলে চিঠি দিয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রোসাটমও। অনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনেও।
তবে প্রকল্প কর্মকর্তাদের দাবি, রোসাটম চিঠিতে প্রকল্পের নিরাপত্তা নিয়ে আপত্তি তোলেনি। চিফ সুপারিনটেন্ডেন্টের দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা ও সুনির্দিষ্ট শর্ত পূরণের কথা জানানো হয়েছে।
প্রকল্পের প্রতিটি ধাপে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) থেকে পরবর্তী ধাপের লাইসেন্স নিতে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের দক্ষতার শর্ত পূরণ না হলে পরবর্তী ধাপের লাইসেন্স পাওয়া অসম্ভব। ভিত্তিহীন প্রচারণায় প্রকল্পটি ঝুঁকিতে না ফেলারও আহ্বান জানান তাঁরা।
সম্প্রতি, রূপপুর প্রকল্পে ভারপ্রাপ্ত চিফ সুপারিনটেনডেন্ট পদে পদোন্নতি পান মুশফিকা আহমেদ।
দুদকে পাঠানো অভিযোগে বলা হয়েছে, মুশফিকা ২০১৯ সালে কেমিক্যাল অ্যান্ড রেডিওঅ্যাকটিভ ওয়েস্ট ম্যানেজার পদে অভিজ্ঞতা ছাড়াই নিয়োগ পান। অথচ বিজ্ঞপ্তিতে পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বা রেডিয়েশন মনিটরিংয়ে অন্তত দুই বছরের অভিজ্ঞতা আবশ্যক ছিল। নিয়োগ বোর্ডে থাকা এক কর্মকর্তার সঙ্গে আত্মীয়তার সুবাদে মুশফিকা চাকরি পেয়েছেন। বিদ্যুৎকেন্দ্রের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্মকর্তা হিসেবে চিফ সুপারিনটেনডেন্ট নিয়োগের এক বছরের মধ্যে বিশেষায়িত তাত্ত্বিক ও ব্যাবহারিক প্রশিক্ষণ এবং কর্ম অভিজ্ঞতা বাধ্যতামূলক। কিন্তু মুশফিকা এসব শর্ত পূরণ ছাড়াই নিয়োগ পেয়েছেন।
মুশফিকা ছাড়াও প্রকল্পের মেকানিক্যাল বিভাগের ঊর্ধ্বতন সহকারী ব্যবস্থাপক রবিউল আলম প্রয়োজনীয় তিন বছরের অভিজ্ঞতা ছাড়াই নিয়োগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। একই সময় ব্যবস্থাপক পদে নিয়োগ পাওয়া আল মামুন ও এ কে এম নাজমুল হাসানের কারোরই বিজ্ঞপ্তিতে চাওয়া ৯ বছরের অভিজ্ঞতা পূর্ণ ছিল না।
২০২৩ সালে ভবিষ্যৎ ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থাপনা পদে আবু কায়সারকে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগের আবশ্যক শর্ত হিসেবে সশস্ত্র বাহিনী বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে সাত বছরের অভিজ্ঞতা ছিল না তাঁর। এছাড়া সিভিল বিভাগের উপব্যবস্থাপক মেরাজ আল মামুনসহ কয়েকজন কর্মকর্তা বিজ্ঞপ্তিতে চাওয়া অভিজ্ঞতা ছাড়াই নিয়োগ পান।
তবে দুদকে পাঠানো অভিযোগ ভিত্তিহীন, অসত্য ও প্রকল্পকে বিতর্কিত করার চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত কর্মকর্তারা। তাঁদের দাবি, বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রথম নির্মিত হচ্ছে। এমন প্রকল্পে বিজ্ঞপ্তিতে চাওয়া শর্তের শতভাগ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মী পাওয়া প্রায় অসম্ভব ছিল। নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা যোগদানের পর রাশিয়া ও বাংলাদেশে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ঘাটতি পূরণে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং নিচ্ছেন, যা একটি চলমান প্রক্রিয়া। বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কমিশনিংয়ের পূর্বশর্ত হিসেবে আইএইএ-এর প্রতিনিধিদের পর্যবেক্ষণে প্রাক উৎপাদন নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ চলমান, যা সন্তোষজনক হলে ফিজিক্যাল স্টার্ট আপ শুরু হবে। এ সময় পরিকল্পিতভাবে অযৌক্তিক প্রশ্ন তুলে জনমনে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে।
এদিকে, অস্থায়ীভাবে চিফ সুপারিনটেনডেন্ট পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাবস্থাপক মুশফিকা আহমেদ তাঁর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হয়নি বলে দাবি করেছেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর নিয়োগের সময় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ম্যানেজার (রাসায়নিক ও তেজস্ক্রিয় বর্জ্য) পদে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের আবেদনের সুযোগ ছিল। তিনি পদার্থবিজ্ঞানে বিএসসি এবং এমএসসি ডিগ্রিধারী। রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে যোগদানের আগে তিনি ঢাকার একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে প্রধান পদার্থবিদ ছিলেন। সেখানে বিকিরণ নিরাপত্তা, রেডিওঅ্যাক্টিভ পদার্থের ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ, তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং নিউক্লিয়ার প্রযুক্তির চিকিৎসা প্রয়োগ নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্তাবলীর মধ্যে ছিল।
শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রশ্নে মুশফিকা আহমেদ বলেন, আমি পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড এবং আইএইএ-এর নির্দেশিকায় তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পদার্থবিদদের সম্পৃক্ততা স্বীকৃত ও প্রচলিত। আমার একাডেমিক যোগ্যতা বিজ্ঞপ্তির শর্তের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। স্বজনপ্রীতির অভিযোগও অনুমাননির্ভর। প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মন্ত্রণালয়, পরমাণু শক্তি কমিশন, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং এনপিসিবিএলের প্রতিনিধিদের কমিটি লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক সাক্ষাৎকার এবং যোগ্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়েছেন। আমি রাশিয়ায় রোসাটম টেকনিক্যাল একাডেমিতে ১৩ মাসেরও বেশি প্রশিক্ষণ নিয়েছি। চিফ সুপারিনটেনডেন্ট পদে আমাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে অভিজ্ঞতা ও কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে। তিনি আরো বলেন, তাত্ত্বিক প্রশিক্ষণের যে ঘাটতির কথা বলা হয়েছিল, সে বিষয়ে রোসাটমের তত্ত্বাবধানে বিশেষজ্ঞদের পর্যালোচনা ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাত সপ্তাহের প্রশিক্ষণও শেষ করেছি।
এদিকে ব্যবস্থাপক ইরতিয়াজ মাহমুদ, এ কে এম নাজমুল হাসান এবং আল মামুনের অভিজ্ঞতার ঘাটতির অভিযোগও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্তরা। তাঁদের দাবি, স্বীকৃত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি পাওয়ার প্লান্ট ও ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানে কাজের অভিজ্ঞতা তাঁরা নিয়োগকালে দাখিল করেন। রাশিয়ায় সফলভাবে প্রশিক্ষণ সাপেক্ষে তাঁদের ডেপুটি চিফ সুপারিনটেনডেন্ট হিসেবে পদায়ন করা হয়। ইতোমধ্যে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে তাঁদের চাকরিকাল ছয় বছর পার হয়েছে এবং যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার স্বীকৃতিস্বরূপ আইএইএ-এর বিভিন্ন মিশন সফলভাবে সম্পন্নের মাধ্যমে রোসাটম এবং কম্পানির সন্তুষ্টি অর্জন করেছেন।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ৯ বছরের অভিজ্ঞতার শর্তে তিন বা চার মাস ঘাটতি থাকলেও নিয়োগ কমিটি ক্ষমতাবলে তাদেরকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেয়। পরীক্ষায় নাজমুল হাসান মেধা তালিকায় প্রথম স্থান করেন এবং ইরতিয়াজ মাহমুদ ও আল মামুন মেধাতালিকায় স্থান পাওয়ায় তাদের নিয়োগ দেয়া হয় হয়। তাঁরা বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছরের অভিজ্ঞতায় তিন বা চার মাসের অভিজ্ঞতার ঘাটতিকে রঙ চঙ মেখে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, সেটা যে বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর স্বার্থসিদ্ধির জন্য- তা যে কেউ বুঝতে পারবে।
যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা তিন উপব্যবস্থাপক আবু কায়ছার, মেরাজ আল মামুন এবং রবিউল আলম বলেন, তাঁরা স্বীকৃত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত বিষয়ে বিএসসি ইঞ্জিনারিং ডিগ্রিধারী। আবু কায়ছার সিকিউরিটি অ্যান্ড পিপিএস ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনিক্যাল ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি হেড পদে ছিলেন। নৌবাহিনী পরিচালিত ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে সাত বছর ও নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দুই বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা দেখানো হয়েছে। ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড যুদ্ধ জাহাজ তৈরি ও মেইনটেইনেন্সের কাজ করে যেখানে নিরাপত্তা সশস্ত্র বাহিনীর যেকোন ঘাঁটির আদলে নিশ্চিত করা হয়। আবু কায়ছারের যুদ্ধ জাহাজ সিস্টেম ও সিকিউরিটি ইকুইপমেন্টসমূহের ইন্সটলেশন, টেস্ট-ট্রায়াল, কমিশনিং ও মেইনটেইন্যান্সের অভিজ্ঞতা থাকায় তাঁকে নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়। নির্বাচনী পরীক্ষা ও ভাইভাতে উত্তীর্ণের পর নিয়োগ দেওয়া হয়।
এছাড়া তিনি রাশিয়াতে রোসাটম টেকনিক্যাল একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। পেশাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতায় কর্তৃপক্ষের সন্তুষ্টির ভিত্তিতে তাকে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়।
মেরাজ আল মামুন স্কয়ার ডেনিম লিমিটেডে ১৬ মেগাওয়াট কেপটিভ পাওয়ার প্লান্ট, স্টিম বয়লার, চিলার প্লান্ট, কুলিং টাওয়ার এবং পাম্প স্টেশন এর অপারেশন এবং মেইনটেইন্যান্স এর অভিজ্ঞতা থাকায় নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়। নির্বাচনী পরীক্ষা ও ভাইভাতে কৃতকার্য হওয়ায় নিয়োগ প্রদান করা হয়। রাশিয়ায় রোসাটম টেকনিক্যাল একাডেমী থেকে প্রশিক্ষন, পেশাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও সক্ষমতা বিবেচনায় তাকে সিনিয়র সহকারী ম্যানেজার থেকে ডেপুটি ম্যানেজারে পদন্নোতি দেয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত কর্মকর্তারা বলেন, বোর্ড তার প্রদত্ত ক্ষমতা বলে নিয়োগ সম্পর্কিত নিয়মনীতি নির্ধারণ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মপরিবেশ নষ্ট করতে একটি চক্র ষড়যন্ত্র করছে। তারাই বিভ্রান্তিকর প্রচারণায় দেশের এই গর্বের প্রকল্পকে বিতর্কিত করছেন।
এ বিষয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের তথ্য কর্মকর্তা ও ফোকাল পয়েন্ট সৈকত আহমেদ বলেন, ৫০ বছর আগের সোভিয়েত ইউনিয়নের চেরনোবিল পারমাণবিক দুর্ঘটনার সাথে রূপপুর প্রকল্পকে তুলনার কোন সুযোগই নেই। আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার নিবিড় তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী নিরাপত্তার শর্ত শতভাগ পূরণ করে সর্বাধুনিক ভিভিইআর থ্রি প্লাস প্রজন্মের প্রযুক্তিতে নির্মিত হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। ভবিষ্যতে যারা এটি পরিচালনা করবেন দায়িত্ব অর্পণের পূর্বেই তাদের যথাযথ যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবে এবং তার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ইতোমধ্যে তারা সম্পন্ন করছে। যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা প্রশিক্ষণ এবং রোসাটমের প্রত্যয়নের প্রেক্ষিতে তাদের দায়িত্ব প্রদান করা হবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ কবীর হোসেন বলেন, উদ্বেগের কারণ নেই। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে কর্মীদের দক্ষতা নিশ্চিত করেই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রকল্প পরিচালনায় কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।
[[[ সৌজন্যে : "কালের কণ্ঠ", বাংলাদেশ। বর্তমান প্রেক্ষিতে খুবই প্রাসঙ্গিক ও দীর্ঘ প্রতিবেদনটি কোনো সম্পাদনা বা সংযোজন, বর্জন ছাড়া হুবহু তুলে ধরা হলো।]]]
No comments:
Post a Comment