পুরো রাজনীতির দিন, সাক্ষী হবে জনতা
মৃণাল কান্তি দাস, রায়গঞ্জ : আগামীকাল, শুক্রবার বাংলা ও বিহারে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আজ, বৃহস্পতিবার সেই সম্পর্কে তিনি টুইট (x.com) করলেন নিজের পেজ (নরেন্দ্র মোদি) থেকে।
সেখানে বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের কর্মসূচির কথা ও সেসবের ছবিও তিনি পোস্ট করেন।
বাংলা ও ইংরেজিতে এরাজ্যের কথা লিখলেন। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে নরেন্দ্র মোদি দু'চার কথা লিখেছেন।
তিনি লিখেছেন, "বঙ্গ বিজেপির কার্যকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় মিছিলের ব্যাপারে আমি আগ্রহী। প্রতিদিন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মানুষের রাগ, ক্ষোভ বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গের জনগণ অনেক আগ্রহের সঙ্গে বিজেপির উন্নয়নমূলক কর্মসূচির দিকে তাকিয়ে আছে।"
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর এই সমালোচনা থেকে একটা বিষয় এদিনই স্পষ্ট হলো যে শনিবার বাংলা ও বিহারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থল থেকে তিনি এরাজ্যের শাসকদলকে তুলোধনা করবেন।
এর আগের দুটি সভা (আলিপুরদুয়ার ও দুর্গাপুর) থেকেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্য সরকার ও শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন, কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন।
সেই দুই সভা দেখে মনে হয়েছিল কোনো নির্বাচনি জনসভা হচ্ছে। শনিবারের সভার ঝাঁঝ আরও বাড়বে।
কারণ ওই দুই সভার পর তোর্ষা, তিস্তা, মহানন্দা, গঙ্গা, ভাগীরথী, দামোদর, অজয়, হুগলি দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে
কাল, শনিবার সেসব জল আর জলে মিশে থাকা কাদা, বালি, পলি ইত্যাদির নিন্দা, সমালোচনা ইত্যাদি ইত্যাদি হবে।
হিসেব বলছে, ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে আরও অনেক অনেক বার তিনি আসবেন। আসুন। কিন্তু বিজেপির জন্য এরাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফল বিগত দিনের চেয়ে ভালো হবে কি...?
পরিবর্তিত পরিস্থিতি অনেক হিসেব বদলে দিতে পারে। এক্ষেত্রে বাঙালির আবেগ সঠিকভাবে বুঝতে পারলে ভালো।
আর বাঙালির ভাবাবেগে আঘাত লাগলে, বাঙালির স্বার্থ, অস্তিত্ব বিপন্ন হলে ফল না ফলে ফলাফল হতে পারে।
যা-ই হোক, শনিবারের অনুষ্ঠানের পরপর (পূর্বের ন্যায়) তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও তাঁর সমালোচনা, অভিযোগের জবাব দেওয়া হবে।
সব কিছু স্বাভাবিক থাকলে শনিবার বঙ্গ - বিহারের রাজনীতিও ঠিক একই ঘটনার সাক্ষী হবে --- এতে কোনো সন্দেহ নেই।
No comments:
Post a Comment