Breaking

Friday, August 15, 2025

শ্রদ্ধা জানাতে এসে প্রাণ নিয়ে পালালেন রিকশাচালক , বঙ্গবন্ধু হত্যার ৫০ বর্ষপূর্তিতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে চলছে ‘কিলার হাসিনা’ গানের ভিডিয়ো প্রদর্শন

 শ্রদ্ধা জানাতে এসে প্রাণ নিয়ে পালালেন রিকশাচালক,  বঙ্গবন্ধু হত্যার ৫০ বর্ষপূর্তিতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে চলছে ‘কিলার হাসিনা’ গানের ভিডিয়ো প্রদর্শন 






      অনিকেত পান্থ : ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের আশেপাশে ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না কাউকে। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির ধ্বংসস্তূপের পাশে পাহারায় নিযুক্ত রয়েছেন কয়েকজন পুলিশকর্মী। এদিন শুধু সংবাদমাধ্যমের বাছাই করা কর্মীদের এখানে প্রবেশাধিকার রয়েছে। আজ, ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুদিবস উপলক্ষে জাতীয় শোক দিবস। সারাদেশে রাজনৈতিক মতবাদের ঊর্ধ্বে উঠে সাধারণ মানুষ দিনটি পালন করছে। তবে এদিন বড় ব্যতিক্রম লক্ষ করা গেল বঙ্গবন্ধুর বাসভবন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে। এখানে কোনো শোকের আবহ বা জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের সুযোগ ছিল না।

       এখানে কোনো আনুষ্ঠানিক কর্মসূচির পরিবর্তে সাউন্ড সিস্টেমে গান চালানো ও ভিডিয়ো প্রদর্শনের মতো আয়োজন নজরে এসেছে। শুক্রবার জুমার নমাজের বিরতির পর দুপুর ২টা ৩৫ মিনিট থেকে গান বাজানো শুরু হয়। শুরুতেই শোনা যায় ভারতীয় চলচ্চিত্রের আলোচিত গান ‘কিলার হাসিনা’। এই গান ২০২২ সালে টি-সিরিজ থেকে রিলিজ করা হয়। এরপর বাজানো হয় আরও কয়েকটি গান। এর মধ্যে প্রধান ছিল "ভালো হয়ে যাও মাসুদ তুমি", "পালিয়ে গেছে কাউয়া কাদের" ও "এই কথা আর কে বলবে"। পাশাপাশি ডিজিটাল স্ক্রিনে হিন্দি গানের ভিডিয়ো প্রদর্শনও করা হচ্ছিল।

        এদিন শ্রদ্ধা জানাতে আসা সাধারণ মানুষের কেউ কেউ সেখানে হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলেও জানা গেছে। আজ দুপুরে আজিজুর রহমান নামের এক রিকশাচালক নিজের উপার্জনের টাকায় ফুলের তোড়া কিনে এনে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গেলে তাঁকে জনরোষের মুখে পড়তে হয়। তাঁর তোড়ায় লেখা ছিল, “১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে সাধারণ রিকশাওয়ালা হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে শ্রদ্ধা জানাতে নিজের সৎ উপার্জনের টাকা দিয়ে ফুল কিনে এনেছি। আমি কোনো দল করি না। শুধু বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি।” তবুও তাঁকে মারধর করা হয়। সেইসময় অগণিত সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের ক্যামেরার ফ্লাশলাইট পড়েছে তাঁর উপর। তীব্র উত্তেজনার মধ্যে মার খেতে খেতে গায়ের পোশাক ছেড়া অবস্থায় তিনি কোনরকমে পালাতে সক্ষম হন।

       অন্যদিকে, ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর সড়কের দুই পাশ ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। এখানে শুধু সংবাদমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। সড়কের দুই পাশে বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক মহলের খবর, আওয়ামী লীগ বা ছাত্র - যুবলীগের কর্মীরা যাতে এখানে এসে কোনোরকম 'ঝামেলা' করতে না পারে, সেজন্য সব মহল থেকে কড়া নজর রাখা হয়েছে। আসলে বর্তমান "দখলদার, অবৈধ প্রশাসন'" ভিতরে ভিতরে সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকে। সারাদেশে এখনও আওয়ামী লীগের প্রতি সাধারণ মানুষের নিঃশব্দ সমর্থন, সহানুভূতি বজায় থাকা এবং ইউনূস প্রশাসনের সময় মানুষের "জীবন - জীবিকা ও সম্পত্তির কোনো নিশ্চয়তা না থাকাটাই" এর কারণ বলে মনে করে রাজনৈতিক তথ্যভিজ্ঞ মহল।

No comments:

Post a Comment