Breaking

Friday, August 1, 2025

হার্টে তিনটি ব্লক শনাক্ত বাইপাস সার্জারির পথে জামাতের আমির

 হার্টে তিনটি ব্লক শনাক্ত বাইপাস সার্জারির পথে জামাতের আমির


বিশেষ প্রতিবেদন, অনিকেত পান্থ 

        বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের হার্টে তিনটি ব্লক শনাক্ত হয়েছে। চিকিৎসকরা তাঁকে বাইপাস সার্জারি করার পরামর্শ দিয়েছেন।

       গত ১২ দিন ধরে জামাতের আমির অসুস্থ। ১৯ জুলাই ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ বক্তব্য পেশ করার সময় তিনি হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ে যান। তারপর থেকে তাঁর চিকিৎসা চলছে।

       এদিন ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর এনজিওগ্রাম করা হয়। তখনই তাঁর হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাঁকে এনজিওপ্লাস্টির পরিবর্তে বাইপাস সার্জারি করার পরামর্শ দেন।

        প্রাথমিকভাবে তাঁকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবা হলেও শফিকুর নিজেই এই ব্যাপারে আপত্তি জানান। দেশের চিকিৎসার ওপর নিজের আস্থা ব্যক্ত করেন তিনি।

        দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শফিকুরের সার্জারির সব প্রস্তুতি চলছে। গত ১২ দিন ধরে তিনি চিকিৎসকদের টানা তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। তাই নানারকম পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়েছে। ফলে  যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁর সার্জারি করা হবে। 

     এদিকে, জামাতের আমিরের পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে তাঁর জন্য "দোয়া" করার আবেদন জানানো হয়। এদিন বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে।

       প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার শাসনের শেষদিক থেকে শুরু করে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে টানা রাজনৈতিক কর্মসূচি, মিটিং, সমাবেশ করছে জামায়াতে ইসলামী।

        শেখ হাসিনার সময়ে নানা কারণে প্রবল চাপে ছিল জামাত। ১৭ বছর পর ঢাকায় জাতীয় সমাবেশের আয়োজন ও তা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা ছিল শফিকুরের কাছে একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ। 

        দেশে নানা সংস্কার কর্মসূচি যাতে ঠিকঠাক সম্পন্ন হয়, সে ব্যাপারেও চাপে ছিলেন আমির। এদিকে আসন্ন নির্বাচনের চাপও ছিল। একসময় খালেদা জিয়ার বিএনপি জোট সরকারের শরিক ছিল তাঁর দল। এবারও ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া ছিলেন তিনি। 

        সব মিলিয়ে এই বয়সে পৌঁছে এত চাপ নেওয়াটা তাঁর স্বাস্থ্যের পক্ষে বড়ো ঝুঁকি হয়ে যাচ্ছিল। হয়তো খানিকটা বাড়াবাড়ি হচ্ছিল। তাই এবার সব চিকিৎসা শেষে তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরুন, এমনটাই চায় তাঁর অনুগামীরা।


No comments:

Post a Comment