শত শত কোটি টাকার লাইসেন্স ফি বকেয়া, তবু
বাংলাদেশ-নেপালে সম্প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় চ্যানেলগুলি
বাংলাদেশে ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় চ্যানেলগুলি। বাংলাদেশের পাশাপাশি নেপালের সঙ্গেও বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন সংকট দেখা দিয়েছে ।
নেপাল ও বাংলাদেশের স্থানীয় পরিবেশকদের কাছে শত শত কোটি টাকার লাইসেন্স ফি বকেয়া রয়েছে ভারতের টিভি সম্প্রচার সংস্থাগুলির। শেখ হাসিনার পতনের পর গত এক বছরে এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। বকেয়ার সমস্যা সবচেয়ে গুরুতর হয়েছে বাংলাদেশে। শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশি টিভি পরিবেশকেরা ভারতীয় সম্প্রচার সংস্থাগুলিকে তাদের চ্যানেলের ফি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, নেপাল ও বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেলগুলির বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। এই জনপ্রিয়তার জন্য ভারতীয় সম্প্রচারকেরা এই দুই দেশের পরিবেশকদের ‘ক্লিন ফিড’ সরবরাহ করে। ফলে ভারতীয় বিজ্ঞাপনমুক্ত সরাসরি সম্প্রচার করার সুযোগ থাকে। এরপরেও নেপালে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বকেয়ার পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশি সম্প্রচারকদের কাছে বকেয়ার পরিমাণ ২৫০ কোটি টাকার বেশি। বৃহৎ ব্যবসায়িক গ্রুপ বেক্সিমকো সহ অনেক প্রতিষ্ঠান ভারতীয় সম্প্রচারকদের পাওনা পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রেমিট্যান্স ছাড়পত্র পায়নি। এ ছাড়া, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কূটনীতিক ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে সম্প্রচারকদের বাণিজ্যিক উদ্বেগ নিয়ে খুব বেশি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ভারতীয় চ্যানেলগুলি নেপালে সরকারের সঙ্গে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। বিপুল বকেয়া থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সম্প্রচারকেরা ফিড বন্ধ করতে দ্বিধাবোধ করছেন। এ বিষয়ে একজন নির্বাহী জানিয়েছেন যে যদি তাঁরা ফিড বন্ধ করে দেন, তাহলে বাংলাদেশের পরিবেশকেরা সহজেই পাইরেটেড ফিড ব্যবহার করতে পারে। এতে করে বকেয়া লাইসেন্স ফি আদায়ের সব আশা শেষ হয়ে যাবে এবং ভবিষ্যতে এই বাজারে ফের প্রবেশ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
No comments:
Post a Comment